সমত্ম
যোগ উচায়তে !
সাধ্ভি রাবিয়া
আবব দেশের মাননীয়া সাধিকা
ছিলেন. একবার হাসান নাম্মনি
ফকির তঁ|র
সান্নিধ্য আসেন
হাসান
সাহেবের রিদ্ধি-সিদ্ধির ওপর
খুব অহংকার ছিল. তিনি
সাধ্ভি রাবিয়া কে নিজের
প্রাথিভার ঘোসনা নিজেই করতে
থাকেন. এর ফাঁকে সাধ্ভি
রাবিয়ার এক শিষ্য ওখানে
আসে উপস্থিত হন এবং
খুবই ভাবের সাথে দুজনকেই
প্রনাম করেন.এবং নিজের ভক্তির নিদর্শন সরূপ একটি
করে সোনার আশরাফি ভেট করেন.সাধ্ভি রাবিয়া কোনো প্রতিক্রিয়া না করে সহজ ভাবেই এই উপহার
গ্রহন করে নিলেন, কিন্তু ফকির সাহেব ভিসন ভাবে প্রতিক্রিয়া সুরু করে দিলেন, প্রচন্ড
রাগের সাথে তিনি চিত্কার করে উঠলেন “তোবা! তোবা! এক্ষুনি সরিয়ে নাও,এক্ষুনি.. তোমার
কি এটাও জানা নাই কি আমি একজন ফকির? আমি সোনা-দানা
ত্যাগ করেছি. আর তুমি এই আশরাফি ছুইয়ে আমার এত কষ্টের অর্জিত পুন্যের ঘড়াটাই ফাটিয়ে
দিলে.” সাধ্ভি রাবিয়িয়ার শিষ্য খুব ভয় পেয়ে গালেন এবং কাঁপতে লাগলেন.ফকির সাহেব আরো
দীগুণ চোখ লাল কোরে সবার দিকে দেখতে দেখতে রাবিয়ার দিকে ফিরে বসলেন. কিন্তু এ কি? সাধ্ভি
রাবিয়া তো ভীসন হাঁসিতে ফেটে পড়লেন, তাঁর হাঁসি
আর থামতেই চায় না, হাসতে-হাসতেই বলে উঠলেন " সে কি ভাই-সাহেব, এখন আপনার সোনার
শেকল কাটে নি বুঝি?ফকির হাসান ( তিলমিলিয়ে) : "আরে আমি তো নিজেই বলছি আমার থেকে
সোনা সরিয়ে নিতে"
সাধ্ভি রাবিয়া
খুবই তাত্বিক জবাব দিলেন, "ফকির ভাই, এটাও তো বন্ধন,তাই নয় কি? আপনিই বলুন না? 'সোনা' র নামের সাথেও তো আপনার বন্ধন ই
রয়ে গাছে নয় কি? 'সোনা' ত্যাগ এর অহংকার রূপে এখনো আপনার সত্যি কারের ত্যাগ হলো কোথায়
বলুন তো?'সোনা' কে ঘেন্না করাও তো তার সাথে একটা বন্ধনে জড়িয়ে থাকারই অন্য নাম নয় কি?”
গীতাতে শ্রী কৃষ্ণ
বলেছেন "সমত্ম যোগ উচায়তে " - সহজ অবস্থা বা সহজ স্থিথি কে ই যোগ বলা হয়. এই অবস্থা রিধি-সিধি থাকে পাব যায় না.একজন
পূর্ণ গুরু র শ্রী চরণে নিরাহানকার ভাবে সেবা করলে খুব সজজেই পাব যায়. অখন্ড জ্ঞান
এর অধিকাংশ লেখায় এই সহজ ভক্তি ও প্রেমের পথেই তার অনুগামীদের পৌছে দিতে চায়.
No comments:
Post a Comment